সপ্তম শ্রেণীর পঠন সেতু পরিবেশ ও ইতিহাস অধ্যায়-৪ নব্য ধর্ম আন্দোলন নমুনা প্রশ্নোত্তর | Class-7 Paton Setu History/Ityahas Addyoy-4 nobbodhormo andolon questions answers
সপ্তম শ্রেণীর পঠন সেতু পরিবেশ ও ইতিহাস অধ্যায়-৪ নব্য ধর্ম আন্দোলন নমুনা প্রশ্নোত্তর– হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো সবাই আশা করি সবাই ভালো আছ।
আজ আমি তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করব পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ক্লাস সেভেনের অর্থাৎ সপ্তম শ্রেণীর পঠন সেতু পরিবেশের ইতিহাস বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায় নব্য ধর্ম আন্দোলন এর যেসব প্রশ্নগুলো আছে সেই প্রশ্নগুলোর তোমাদের সঙ্গে আজকে আলোচনা করবো তো চলো নিচে উত্তর গুলো দেখে নেওয়া যাক
সপ্তম শ্রেণীর পঠন সেতু পরিবেশ ও ইতিহাস অধ্যায়-৪ নব্য ধর্ম আন্দোলন নমুনা প্রশ্নোত্তর | Class-7 Paton Setu History/Ityahas Addyoy-4 nobbodhormo andolon questions answers
১. শূন্যস্থান পূরণ কর :
(ক) নব্যধর্ম আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল ______________ খ্রিস্টাব্দে।
✅ উত্তরঃ- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ।
(খ) গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ________________ বংশে।
✅ উত্তরঃ- ক্ষত্রিয় ।
(গ) চতুৰ্যামব্রত ছিল ____________ ধর্মের অংশ।
✅ উত্তরঃ- জৈন ।
(ঘ) অষ্টাঙ্গিক মার্গ ছিল __________________ ধর্মের অন্তর্গত।
✅ উত্তরঃ- বৌদ্ধ ।
২. নীচের বাক্যগুলির কোন্টি ঠিক কোন্টি ভুল লেখো :
(ক) বৈদিক ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান সর্বস্বতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই নব্যধর্ম আন্দোলনের সূচনা হয় ।
✅উত্তরঃ- ঠিক ।
(খ) জৈন ধর্ম অনুযায়ী মোট চোদ্দজন তীর্থঙ্কর-এর অস্তিত্ব ছিল।
✅উত্তরঃ- ভুল ।
(গ) গৌতম বুদ্ধ ক্ষত্রিয় পরিবারের সন্তান ছিলেন।
✅উত্তরঃ- ঠিক ।
(ঘ) ত্রিপিটক হল জৈন ধর্মগ্রন্থ।
✅উত্তরঃ- ভুল ।
৩. নিজের ভাষায় ভেবে লেখো (তিন-চার লাইন)
(ক) নব্যধর্ম আন্দোলন বলতে কী বোঝো?
✅ উত্তরঃ- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নাগাদ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ ব্রাহ্ম ধর্মের বিরোধিতা করেন ব্রাহ্মধর্মের নতুন সহজ সরল ধর্ম যেমন জৈন ও বৌদ্ধ ধর্ম সহ বেশ কিছু নতুন ধর্মের উত্থান ঘটান ।আর ব্রাহ্মণ ধর্ম ও বেদের বিরোধিতা করে এই নতুন ধরনের আন্দোলন গুলিকে বলা হয় নব্য ধর্ম আন্দোলন ।
আরো পড়ুনঃ-
👉 সপ্তম শ্রেণীর পঠন সেতু পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় তাপ বিষয় এর নমুনা প্রশ্নোত্তর
(খ) চতুৰ্যামব্রত ও পঞ্চমহাব্রত কী?
✅ উত্তরঃ- জৈন ধর্মের চারটের নীতির কথা বলেছেন সেগুলি চতুরযাম ব্রত বলা হয় আর এই চারটি নীতি হলো , (১) কোন প্রাণী হত্যা না করা (২) মিথ্যা কথা না বলা (৩) অন্যের জিনিস ছিনিয়ে না নেওয়া (৪) নিজের জন্য কোন সম্পত্তি না করা । এবং 23 তম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ জৈন ধর্মের চতুরযাম নীতি প্রবর্তন করেন এবং 24 তম তীর্থঙ্কর বর্ধমান মহাবীর দুর্নীতির সঙ্গে আরও একটি নীতি করা হয় এবং এই নীতিতে জৈন ধর্মের পাশাপাশি ব্রহ্মচর্য নীতি মেনে চলতে হবে একথা বলা হয়েছিল তাই চতুরযাম এর চারটি নীতি ও ব্রহ্মচর্য নীতি একত্রিত করে একে বলা হয় পঞ্চমহাব্রত ।
(গ) বৌদ্ধধর্মমতের মূল বক্তব্যগুলি কী ছিল?
✅ উত্তরঃ- বৌদ্ধধর্মমতের মূল বক্তব্যগুলি হল- (১) আর্যসত্যঃ- গৌতম বুদ্ধের ধর্ম চারটি মূল সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল এগুলি হল, জীবনে দুঃখ আছে ,দুঃখের কারণ আছে , দুঃখের নিভৃত আছে এবং দুঃখ থেকে নিষ্কৃতি পথ বা উপায় আছে ।
(২) অষ্টাঙ্গিক মার্গঃ- আস্তিক বিনাশের জন্য বৌদ্ধধর্মে আটটি পথের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এগুলি একত্রে অষ্টাঙ্গিক মার্গ নামে পরিচিত ।
(৩) মধ্যপন্থাঃ- গৌতম বুদ্ধ চরম ভোগ ও ত্যাগের মধ্যবর্তী পথ অর্থাৎ মজজিম পন্থা বা মধ্যম পন্থা অনুসরণ করতে বলেছিলেন ।
(ঘ) খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে সমাজের কোন্ কোন্ শ্রেণির মানুষ কেন নব্যধর্ম আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন? যুক্তিসহ লেখো।
✅উত্তরঃ- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এই আন্দোলনে সমর্থন করেছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন হল –
(১) ক্ষত্রিয়ঃ- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নাগাদ লোহার অস্ত্রশস্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহার শুরু হয় ফলে ক্ষত্রিয় দের ক্ষমতা বেড়ে যায় তারা ব্রাহ্মণদের সমান ক্ষমতা ভোগ করার দাবি তোলে ও নব্য ধর্ম আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাই ।
(২) বৈশিঃ- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের সময় লোহার নাঙ্গল ব্যবহারের ফলে কৃষকদের উৎপাদন বাড়ে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে ব্রাহ্মণ ধর্ম ব্যবসায়ী বা বৈশ্যদের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে বলে নব্য ধর্ম কে সমর্থন করেন ।
(৩) শূদ্রঃ- ব্রাহ্মণ্য ধর্মের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ও জাতিভেদ প্রথা সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের ক্ষুব্দ করে তোলে তাই নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা এই বৈদিক ব্রাহ্মণ ধর্মের বিরোধীতা করেন এবং তারা নব্য ধর্ম আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাই ।
আরো পড়ুনঃ-