Geography

শিলা কাকে বলে | বিভিন্ন শিলার বৈশিষ্ট্য | শিলা ছবি

প্রিয় বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করব ক্লাস এইটের ভূগোল বিষয়ে চ্যাপ্টার শিলা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর এই প্রশ্নের উত্তর মধ্যে যেসব প্রশ্নগুলো আমরা আলোচনা করব সেগুলো হলো শিলা কাকে বলে শিলার বৈশিষ্ট্য শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি নানান ধরনের প্রশ্নগুলো আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে জেনে নেবো তো চলুন শুরু করা যাক
শিলা কাকে বলে | বিভিন্ন শিলার বৈশিষ্ট্য | শিলা ছবি
শিলা কাকে বলে | বিভিন্ন শিলার বৈশিষ্ট্য | শিলা ছবি

শিলা কাকে বলে | বিভিন্ন শিলার বৈশিষ্ট্য | শিলা ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ুন



১.  আম্লিক শিলা কাকে বলে? আম্লিক শিলার বৈশিষ্ট্য?

উত্তরঃ- যে-আগ্নেয়শিলায় সিলিকনের পরিমাণ 65%-এর বেশি ও ক্ষারকীয় অক্সাইডের পরিমাণ 35%-এর কম, তাকে আম্লিক শিলা বলে।

আম্লিক শিলার বৈশিষ্ট্যঃ- 

(i) কণার আয়তন অপেক্ষাকৃত বড়ো হয়।

(ii) রং সাধারণত হালকা।

(iii) ঘনত্ব অপেক্ষাকৃত কম।

আম্লিক শিলার উদাহরণ – গ্র্যানাইট, রায়োলাইট।

2. ক্ষারকীয় শিলা কাকে বলে? ক্ষারকীয় শিলার বৈশিষ্ট্য?

ক্ষারকীয় শিলা কাকে বলে? ক্ষারকীয় শিলার বৈশিষ্ট্য?
ক্ষারকীয় শিলা কাকে বলে? ক্ষারকীয় শিলার বৈশিষ্ট্য?

উত্তরঃ-  যেসব আগ্নেয়শিলায় সিলিকনের পরিমাণ 45%-এর কম ও ক্ষারকীয় অক্সাইডের পরিমাণ 55%-এর বেশি তাকে ক্ষারকীয় শিলা বলে।

👉 ক্ষারকীয় শিলার  বৈশিষ্ট্যঃ-

(i) কণার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোটো হয়।

(ii) রং সাধারণত গাঢ় রঙের হয়। 

(iii ) ঘনত্ব বেশি।

ক্ষারকীয় শিলার  উদাহরণ—ব্যাসল্ট, ডলোরাইট।

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ুন

👉 ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

👉 ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব | ফ্রিতে শিখুন ফ্রিল্যান্সিং

৩.  আগ্নেয়শিলার  বৈশিষ্ট্য ?

আগ্নেয়শিলার কাকে বলে বৈশিষ্ট্য
আগ্নেয়শিলার কাকে বলে বৈশিষ্ট্য


উত্তরঃ–  আগ্নেয়শিলার  বৈশিষ্ট্য গুলি হলঃ- 

(i) এই শিলা খুব কঠিন, শক্ত ও ভারী। তাই ভঙ্গুরতাও কম।

(ii) কণাগুলি দৃঢ়সংবদ্ধ বলে সচ্ছিদ্রতাহীন ও প্রবেশ্যতাহীন বললেই চলে।

(iii )এই শিলায় ফাটল ও দারণ দেখা যায়। কেবল ফাটল বা দারণের মধ্যে দিয়ে জল প্রবেশ করতে পারে।
(iv) এই শিলাতে উজ্জ্বল কেলাস দেখা যায়।
(v) এই শিলা হালকা রং (গ্র্যানাইট) বা গাঢ় রং (ব্যাসল্ট)এর হতে পারে।
(vi) এই শিলাই আদি ও মূলশিলা।

৪.  পাললিক শিলার  বৈশিষ্ট্য ? 


পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য ?
পাললিক শিলার  বৈশিষ্ট্য ?

পাললিক শিলার  বৈশিষ্ট্য ?
উত্তরঃ-  পাললিক শিলার   বৈশিষ্ট্য গুলি হলঃ- 

 (i) এই শিলা খুবই নমনীয়, তাই ভঙ্গুর।
(ii) এই শিলা খুবই সচ্ছিদ্র এবং প্রবেশ্যতার মাত্রা সর্বাধিক। তাই শুধুমাত্র এই শিলাতেই জল থাকতে পারে অর্থাৎ প্রাকৃতিক জলাধার বা অ্যাকুইফার গঠিত হতে পারে।
(iii) সচ্ছিদ্রতার জন্য এই শিলাতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল সঞ্চিত থাকে।
(iv) এই শিলা স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। এর স্তরায়ন তলে তাই জীবাশ্ম এবং কয়লা পাওয়া যায়।
(v) এই শিলায় কাদার চিড়-খাওয়ার দাগ, জলের ঢেউ-এর চিহ্নও প্রোথিত থাকে।
(vi)  এই শিলার ক্ষয় প্রতিরোধের মাত্রা বিভিন্ন । যেমন—চুনাপাথর দ্রুত ক্ষয়িত হয় কিন্তু বেলেপাথরের ক্ষয়রোধক ক্ষমতা বেশি।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ুন


5. রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য ? 


5. রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য ?
রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য ?

উত্তরঃ- রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য গুলি হলঃ– 
(i) আগ্নেয়শিলা এবং পাললিক শিলা রূপান্তরিত হলে কাঠিন্য বৃদ্ধি পায়।
(ii) এই শিলার কেলাস সবচেয়ে সুন্দর হয় (যেমন—মারবেল)।
(iii) এই শিলার প্রান্তগুলি খুব সূক্ষ্ম হয় (যেমন— কোয়ার্টসাইট)।
(iv)  এই শিলার ক্ষয়রোধক ক্ষমতা যেমন কোনো ক্ষেত্রে খুব বেশি হয় (যেমন—নিস), তেমনই সবচেয়ে নমনীয় (কাঠিন্যের মাত্রায়) শিলাও দেখা যায় (যেমন—ট্যাল্ক)।

6. গ্রানাইট শিলার বৈশিষ্ট্য?

গ্রানাইট শিলার বৈশিষ্ট্য?
গ্রানাইট শিলার বৈশিষ্ট্য?

উত্তরঃ-  (i) গ্রানাইট শিলার গঠন : কোয়ার্টস, ফেল্ডসপার (অর্থক্লেজ ও প্ল্যাজিয়োক্লেজ), অভ্র এই তিন মূল খনিজের সমন্বয়ে গঠিত। কখনো- কখনো হর্নরেন্ড এই শিলায় থাকে।
(ii) গ্রানাইট শিলার আকৃতি : স্ফটিক আকৃতির। 
(iii) গ্রানাইট শিলার বর্ণ : হালকা গোলাপি, সাদা ও কালো ছিট ছিট দাগযুক্ত।
(iv) গ্রানাইট শিলার গ্ৰথন : মোটা থেকে মাঝারি দানা।
(v) গ্রানাইট শিলার আপেক্ষিক গুরুত্বঃ- 2.63-2.75।

7. ব্যাসল্ট শিলার বৈশিষ্ট্য?

ব্যাসল্ট শিলার বৈশিষ্ট্য?
ব্যাসল্ট শিলার বৈশিষ্ট্য?
উত্তরঃ-  (i) ব্যাসল্ট শিলার গঠন : প্ল্যাজিয়োক্লেজ ফেল্ডসপার (প্রধান), অগাইট অথবা অলভিন ও লৌহ অক্সাইড নিয়ে গঠিত ব্যাসল্ট ।
(ii) ব্যাসল্ট শিলার আকৃতি : স্তূপাকার, অকেলাসিত। 
(iii) ব্যাসল্ট শিলার বর্ণ : গাঢ় ধূসর থেকে কালো। 
(iv) ব্যাসল্ট শিলার গ্ৰথন: সূক্ষ্ম দানাযুক্ত অথবা কাচের মতো মসৃণ।

(v) ব্যাসল্ট শিলার আপেক্ষিক গুরুত্ব : 2.9-3.1

8. চুনাপাথরের বৈশিষ্ট্য ?

চুনাপাথরের বৈশিষ্ট্য ?
চুনাপাথরের বৈশিষ্ট্য ?
উত্তরঃ-  (i) চুনাপাথরের গঠন : ক্যালশিয়াম কার্বনেট দ্বারা গঠিত এবং বিভিন্ন অনুপাতে সিলিকা ও কর্দম খনিজ মিশ্রিত থাকে। 
(ii) চুনাপাথরের আকৃতি : স্তূপাকৃতি চুনাপাথর
(iii) চুনাপাথরের বর্ণ : সাদা (বিশুদ্ধ অবস্থায়) এবং মূলত ধূসর 
(iv) চুনাপাথরের গ্ৰথন : সূক্ষ্ম থেকে মোটা দানা।
(v) চুনাপাথরেরকাঠিন্য : 5-এর কম, লোহার ছুরিতে দাগ কাটে
(vi) চুনাপাথরের আপেক্ষিক গুরুত্ব : 2.5-2.8
(vii) চুনাপাথরের বিক্রিয়া : লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCI) প্রয়োগ করলে চুনাপাথর থেকে বুদ্বুদ আকারে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়।

9. বেলেপাথর এর বৈশিষ্ট্য?

বেলেপাথর এর বৈশিষ্ট্য?
বেলেপাথর এর বৈশিষ্ট্য?

উত্তরঃ-  বেলেপাথর এর গঠন : সিলিকা, লৌহঅক্সাইড অথবা চুন সমৃদ্ধ কোয়ার্টস দানা দ্বারা গঠিত। এ ছাড়া ফেল্ডসপার দিয়েও এটি গঠিত হয় (ফেল্ডস্‌পেটিক বেলেপাথর)।

(ii) বর্ণ : ধূসর, হলুদ, বাদামি থেকে লালচে। 

(iii) আকৃতি : স্তরায়িত।

(iv) গ্ৰথন : সূক্ষ্ম দানা (কোণাকৃতি) থেকে মোটা দানা (গোলাকৃতি)।

(v) আপেক্ষিক গুরুত্ব: 2.5

10. কাদাপাথর এর বৈশিষ্ট্য? 

কাদাপাথর এর বৈশিষ্ট্য?
কাদাপাথর এর বৈশিষ্ট্য? 
উত্তরঃ-  (i) কাদাপাথর এর  রং : কালচে ধূসর রঙের হয়।
(ii) কাদাপাথর এর  কাঠিন্য : বেশ নরম ও ভঙ্গুর প্রকৃতির।
(iii) কাদাপাথর এর  প্রবেশ্যতা : প্রবেশ্যতা কম, তাই এর জলধারণ ক্ষমতা বেশি।
(iv) কাদাপাথর এর  দানার আকৃতি : 0.06 মিমি-এর কম ব্যাসযুক্ত অত্যন্ত মিহি দানা দ্বারা এই শিলা গঠিত।
(v) কাদাপাথর এর  স্তরায়ন : কাদাপাথরের মধ্যে স্তরায়ন খুব স্পষ্ট। 
(vi) কাদাপাথর এর  আপেক্ষিক গুরুত্ব : < 2.75

11. স্লেট (Slate) পাথরের বৈশিষ্ট্য ?

স্লেট (Slate) পাথরের বৈশিষ্ট্য ?
স্লেট (Slate) পাথরের বৈশিষ্ট্য ?
উত্তর:-  (i) গঠন : কাদাপাথর বা শেল অত্যধিক চাপে ও তাপে স্লেট শিলায় রূপান্তরিত হয়। 
(ii) আকৃতি: স্তরায়িত
(iii) বর্ণ : নীলাভ কৃষ্ণ তবে ধূসর, সবুজ ও লাল রঙেরও হয়। 
(iv) সম্ভেদ : সম্ভেদ তল অতিস্পষ্ট।
(v) গ্ৰথন : অতিসূক্ষ্ম
(vi) আপেক্ষিক গুরুত্ব : 2.75 

12. মার্বেল পাথরের বৈশিষ্ট্য?

মার্বেল পাথরের বৈশিষ্ট্য?
মার্বেল পাথরের বৈশিষ্ট্য?
উত্তর:-  গঠন : চুনাপাথর রূপান্তরিত হয়ে মারবেলে পরিণত  হয় 
(ii  )বর্ণ : সাদা, কালো, লাল, বাদামি, গোলাপি, হলদে প্রভৃতি 

(iii)  আকৃতি : স্তম্ভাকৃতি, কেলাসিত ও দৃঢ় সংঘবদ্ধ

(iv) গ্রন্থন: সমপ্রকৃতির দানাযুক্ত। সূক্ষ্ম অথবা মোটা দানার

(v) বিক্রিয়া: লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCI) দিলে বুদ্বুদ ওঠে।

13. নিস পাথরের বৈশিষ্ট্য?

নিস পাথরের বৈশিষ্ট্য?
নিস পাথরের বৈশিষ্ট্য?
উত্তর:-  (i) গঠন : বলয়িত প্রকৃতির। গাঢ় বর্ণের বলয়গুলি ফেরো ম্যাঙ্গানিজ খনিজ দিয়ে গঠিত। হালকা রঙের বলয়গুলি কোয়ার্টস ও ফেল্ডস্পারের মিশ্রণে গঠিত। বলয়গুলি আঁকাবাঁকা ও সোজা এবং ক্রমাগত অথবা ছাড়া ছাড়া হতে পারে।

(vii) আকৃতি : স্তম্ভাকৃতি।

(viii) বর্ণ : হালকা রঙের শিলাগুলি সাদা থেকে গোলাপি ও গাঢ় রঙের শিলাগুলি সবুজ থেকে কালো হয়।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button