Life Science

ক্লাস নাইন লাইফ সাইন্স | ক্লাস নাইন জীবন ও তার বৈচিত্র্য | জীবের পাঁচটি রাজ্য ও উদ্ভিদ রাজ্য এবং প্রাণী রাজ্যের শ্রেণিবিভাগ

ক্লাস নাইন লাইফ সাইন্স | ক্লাস নাইন জীবন ও তার বৈচিত্র্য | জীবের পাঁচটি রাজ্য ও উদ্ভিদ রাজ্য এবং প্রাণী রাজ্যের শ্রেণিবিভাগ

Table of Contents

ক্লাস নাইন লাইফ সাইন্স | ক্লাস নাইন জীবন ও তার বৈচিত্র্য | জীবের পাঁচটি রাজ্য ও উদ্ভিদ রাজ্য এবং প্রাণী রাজ্যের শ্রেণিবিভাগ

১. ব্যাকটেরিয়াকে উদ্ভিদ বলার কারণ কী?

উত্তর ঃ- ব্যাকাটরিয়াকে উদ্ভিদ বলার কারণ— 

i) ব্যাকটেরিয়ার কোশে উদ্ভিদকোশের মতাে কোশপ্রাচীর বর্তমান। 

ii)  কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়ার দেহে সালােকসংশ্লেষকারী রঞ্জক বর্তমান। 

iii) কোনাে কোনাে ব্যাকটেরিয়া ভিটামিন ও অ্যামিনাে অ্যাসিড সংশ্লেষ করতে সক্ষম। 

 iv) অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে।


মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো

জীবদেহে জলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা || জীবদেহে জলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলি কি কি ?


২. ব্যাকটেরিয়া ও ক্ল্যামাইডােমােনাস উভয়েই এককোশী আণুবীক্ষণিক ও কোশপ্রাচীরযুক্ত। তুমি কি এদের একই গােষ্ঠীর অন্তর্গত করবে? তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্ত দেখাও।

উত্তরঃ- ব্যাকটেরিয়া ও ক্ল্যামাইডােমােনাস উভয়েই এককোশী আণুবীক্ষণিক ও কোশপ্রাচীরযুক্ত হলেও এদের একই গােষ্ঠীর অন্তর্গত করা যায় না, কারণ- (i) ব্যাকটেরিয়ার কোশপ্রাচীর পেপটাইডােগ্লাইকান দ্বারা নির্মিত কিন্তু ক্ল্যামাইডােমােনাসের কোষপ্রাচীর সেলুলােজ দ্বারা নির্মিত। (i) ব্যাকটেরিয়ার কোশ সুগঠিত নিউক্লিয়াসবিহীন অর্থাৎ, প্রােক্যারিওটিক এবং ক্ল্যামাইডােমােনাসের কোশ সুগঠিত নিউক্লিয়াসযুক্ত অর্থাৎ, ইউক্যারিওটিক।


প্রচলিত শক্তি এবং অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য


৩. নিউক্লিওয়েড বা জেনােফোর কী? 

উত্তরঃ-  মনেরা রাজ্যের অন্তর্গত রাজ্যের অন্তর্গত প্রােক্যারিওটিক জীবদেরকোশে সাইটোপ্লাজমে প্রােটিনবিহীন, নগ্ন, চক্রাকার যে দ্বিতন্ত্রী — DNA উপস্থিত থাকে, তাকে নিউক্লিওয়েড বা জেনােফোর বলে।



৪. অণুসূত্র বা হাইফি (Hyphae) কী ? এর কাজ কী ?


উত্তর ঃ-  বহুকাশী ছত্রাকের দেহগঠনকারী সূত্রাকার শাখান্বিত, লম্বা কাশ সমন্বিত অংশকে অণুসূত্র বা হাইফি বলে।

অণুসূত্র বা হাইফি এর কাজ :  
অণুসূত্র বা হাইফাগুলি একত্রিত হয়ে ছত্রাত্রে থ্যালাস দেহ মাইসেলিয়াম (mycelium) গঠন করে। 
হাইফার সাহায্যে ছত্রাক পরিবেশ থেকে খাদ্যরস শােষণ করে পুষ্টি সম্পন্ন করে।





৫. মাইসেলিয়াম (Mycelium) কী?


উত্তর ঃ- বহুকোশী ছত্রাকের অঙ্গজ দেহ গঠনকারী অণুসূত্র বা হাইফি প্রচুর শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয়। এই সমস্ত শাখাপ্রশাখাগুলি পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে যে জটিল জালকাকার গঠন তৈরি করে তাকে মাইসেলিয়াম (Mycelium) বলে। যেমন- পেনিসিলিয়াম, মিউকর, আগারিকাস প্রভৃতি ছত্রাক।




৬. সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ বা থ্যালােফাইটা কাকে বলে?


উত্তর ঃ- যে-সমস্ত অপুষ্পক উদ্ভিদের দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভেদিত থাকে না অথাৎ থ্যালাস প্রকৃতির হয়, তাদের সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ বা থ্যালােফাইটা বলে। যেমন- ক্লামাইডোমােনাস, ভলভ, পাইরােগাইরা প্রভৃতি শৈবাল।



৭. রাইজয়েড কাকে বলে? এর কাজ কী? 


উত্তর ঃ-  মসজাতীয় উদ্ভিদের দেহে মূলের মতাে যে এককোশী গঠন উপস্থিত থাকে, তাদের রাইজয়েড বলে।

রাইজয়েড কাজ : মাটি থেকে জল ও জলে দ্রবীভূত খনিজ লবণ শােষণ করে।



৮. কোলয়েড ও ফাইলয়েড কাকে বলে? 


উত্তর ঃ- ব্রায়ােফাইটা বা মসজাতীয় অপুষ্পক উদ্ভিদের দেহে যে কাণ্ড সদৃশ অংশ উপস্থিত থাকে, তাকে কোলয়েড এবং যে সমস্ত পাতাসদৃশ অংশ থাকে, তাদের ফাইলয়েড বলে। যেমন— পােগােনেটাম, পলিট্রিকাম প্রভৃতি মসে দেখা যায়।



৯. ফার্নের পাতা কতপ্রকার ও কী কী? 


উত্তর ঃ- ফার্নের দু-রকম পাতা দেখতে পাওয়া যায়। যথা – ক্ষুদ্র ও সূক্ষ্মপাতা (মাইক্রোফাইলাস) এবং বড়াে ও প্রসারিত পাতা (মেগাফাইলাস)।




১০.সােরাই  কী?


উত্তর ঃ- টরিডােফাইটা বা ফার্মজাতীয় উদ্ভিদের পরিণত পাতার নীচের দিকে বাদামি রঙের সরষের দানার মতাে যে-সমস্ত রেণুলী গঠিত হয় তাদের একত্রে সােরাই (একবচনে-সােরাস) বলে। রেণুথলীতে রেণু উৎপন্ন হয়।



১১. পাইনাসকে ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ’ রূপে গণ্য করা হয় কেন?


উত্তর ঃ-  পাইনাস উদ্ভিদের স্ত্রীরেণুপত্রে কোনাে ডিম্বাশয় না থাকায় নিষেকের পরে ফল সৃষ্টি হয় না, একারণে নগ্ন ডিম্বক থেকে সৃষ্ট বীজগুলি অনাবৃত অবস্থায় স্ত্রীরেণুপত্রে সজ্জিত থাকে। এজন্য পাইনাসকে ব্যক্তবীজী উদ্ভিদরূপে গণ্য করা হয়।



১২. ব্যক্তবীজী উদ্ভিদে ফল উৎপন্ন হয় না কেন?


উত্তর ঃ- ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ডিম্বক বহনকারী স্ত্রীরেণুপত্রগুলি ভাঁজযুক্ত হয়ে ডিম্বাশয়, গর্ভদণ্ড ও গর্ভমুণ্ডযুক্ত বদ্ধ প্রকোষ্ঠের গর্ভকেশর চক্র গঠন করে না, তাই নিষেকের পর নগ্নডিম্বকগুলি নগ্নবীজ উৎপন্ন করে, ফল গঠিত হয় না।





১৩. ধান, আম প্রভৃতি উদ্ভিদকে ‘গুপ্তবীজী উদ্ভিদ’ রূপে গণ্য করা হয় কেন?


উত্তর ঃ- ধান, আম প্রভৃতি উদ্ভিদের ফুলে স্ত্রীস্তবক ডিম্বাশয়যুক্ত হওয়ায় নিষেকের পর ফল সৃষ্টি হয়। এ কারণে ডিম্বক (ডিম্বাশয়ের মধ্যে অবস্থান করে) থেকে সৃষ্ট বীজ ফলের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। এজন্য ধান, আম প্রভৃতি উদ্ভিদকে গুপ্তবীজী উদ্ভিদরূপে গণ্য করা ।



১৪. দ্বি-অরীয়ভাবে অরীয়ভাবে প্রতিসম প্রাণী কাকে বলে?


উত্তর ঃ-   যদি কোনাে প্রাণীকে তার অণুদৈর্ঘ্য অক্ষ বরাবর কেন্দ্রের। মধ্যে দিয়ে দুটি ভাগে ভাগ করলে দুটি সমান অংশ পাওয়া যায়, তাকে। দ্বি-অরীভাবে প্রতিসম প্রাণী বলে। যেমন- সি-অ্যানিমােন, বেরাে।



১৫. দ্বি-পার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম প্রাণী কাকে বলে?


উত্তর ঃ-  যদি কোনাে প্রাণীকে তার কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর ছেদ করলে । একবার মাত্র দুটি সমান অংশে ভাগ করা যায়, তাকে দ্বি-পার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম প্রাণী বলে। যেমন— মানুষ, চিংড়ি। । 


Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button